ঢাকা ০১:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বাংলাদেশে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:২৭:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৭
  • ২১৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এখনো রাতের আঁধারে কিছু কিছু রোহিঙ্গা ঢুকছে বাংলাদেশে। টেকনাফ উপজেলা সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। তবে বর্তমানে অনুপ্রবেশের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। গত সোমবার রাতে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, লম্বাবিল, হ্নীলা ও খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে তিন শতাধিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। এর মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।

সীমান্ত দিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ২০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক। এ ছাড়া গত সোমবার ভোর ও রাতে তিন শতাধিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত দিয়ে সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তবে আগের তুলানায় রোহিঙ্গা প্রবেশ কমেছে।

গত রোববার শাহপরীর দ্বীপ দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে মো. আয়ুব (৪৫) নামে এক রোহিঙ্গা। তিনি জানান, মিয়ানমারের বুচিডং (বুথেডং) টাউনশিপ টাইম্ম্যাখালী গ্রামে তার বাড়ি। ১০ দিন হেঁটে মিয়ানমার সীমান্তে চরে ডংখালী নামক এলাকায় পৌঁছেন। সেখানে তিন হাজারের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে, তারা বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িতে গিয়ে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তাছাড়া ঘর থেকে কাউকে বের হতে দিচ্ছে না। লোকজনকে জোর করে (এনপিসি) কার্ড রোহিঙ্গাদের ধরিয়ে দিচ্ছে। যারা নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, তাদের হত্যা করার হুমকিও দিচ্ছে। এতে অনেকে এ কার্ড নিয়েছে। যেখানে বলা আছে অবৈধ ‘বাঙালি’। রোববার রাতে আমাদের পরিবারে ১২ জন সদস্য নৌকা নিয়ে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলার চর নামক এলাকা দিয়ে এপারে প্রবেশ করে।”

সাবরাং হারিয়াখালী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল কাজ করছে। দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট মেহেদী পিয়াস বলেন, সোমবার ট্রাক ও জিপে করে নয়াপাড়া কিছু রোহিঙ্গাকে ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ডাল, চিরা, বিস্কুট, শিশুদের জন্য দুধ, কাপড় দেওয়া হয়েছে এবং সরকারি-বেসরকারি সংগঠনগুলো তাদের চিকিৎসা দিচ্ছে। তবে মঙ্গলবার নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢোকেনি।

টেকনাফ-২ বিজিবির পরিচালক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম বলেন, রোববার রাতে শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়া ও ঘোলাপাড়া পয়েন্ট দিয়ে ২৯ পুরুষ, ২৯ নারী ও ৫৩ জন শিশু বাংলাদেশে ঢুকেছে। তাদেরকে সোমবার বিকেলে সাবরাং হারিয়াখালী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতেও কিছু রোহিঙ্গা এসেছে। তবে মঙ্গলবার রোহিঙ্গা প্রবেশ চোখে পড়েনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

২০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বাংলাদেশে

আপডেট টাইম : ০১:২৭:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এখনো রাতের আঁধারে কিছু কিছু রোহিঙ্গা ঢুকছে বাংলাদেশে। টেকনাফ উপজেলা সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। তবে বর্তমানে অনুপ্রবেশের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। গত সোমবার রাতে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, লম্বাবিল, হ্নীলা ও খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে তিন শতাধিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। এর মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।

সীমান্ত দিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ২০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক। এ ছাড়া গত সোমবার ভোর ও রাতে তিন শতাধিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত দিয়ে সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তবে আগের তুলানায় রোহিঙ্গা প্রবেশ কমেছে।

গত রোববার শাহপরীর দ্বীপ দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে মো. আয়ুব (৪৫) নামে এক রোহিঙ্গা। তিনি জানান, মিয়ানমারের বুচিডং (বুথেডং) টাউনশিপ টাইম্ম্যাখালী গ্রামে তার বাড়ি। ১০ দিন হেঁটে মিয়ানমার সীমান্তে চরে ডংখালী নামক এলাকায় পৌঁছেন। সেখানে তিন হাজারের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে, তারা বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িতে গিয়ে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তাছাড়া ঘর থেকে কাউকে বের হতে দিচ্ছে না। লোকজনকে জোর করে (এনপিসি) কার্ড রোহিঙ্গাদের ধরিয়ে দিচ্ছে। যারা নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, তাদের হত্যা করার হুমকিও দিচ্ছে। এতে অনেকে এ কার্ড নিয়েছে। যেখানে বলা আছে অবৈধ ‘বাঙালি’। রোববার রাতে আমাদের পরিবারে ১২ জন সদস্য নৌকা নিয়ে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলার চর নামক এলাকা দিয়ে এপারে প্রবেশ করে।”

সাবরাং হারিয়াখালী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল কাজ করছে। দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট মেহেদী পিয়াস বলেন, সোমবার ট্রাক ও জিপে করে নয়াপাড়া কিছু রোহিঙ্গাকে ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ডাল, চিরা, বিস্কুট, শিশুদের জন্য দুধ, কাপড় দেওয়া হয়েছে এবং সরকারি-বেসরকারি সংগঠনগুলো তাদের চিকিৎসা দিচ্ছে। তবে মঙ্গলবার নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢোকেনি।

টেকনাফ-২ বিজিবির পরিচালক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম বলেন, রোববার রাতে শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়া ও ঘোলাপাড়া পয়েন্ট দিয়ে ২৯ পুরুষ, ২৯ নারী ও ৫৩ জন শিশু বাংলাদেশে ঢুকেছে। তাদেরকে সোমবার বিকেলে সাবরাং হারিয়াখালী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতেও কিছু রোহিঙ্গা এসেছে। তবে মঙ্গলবার রোহিঙ্গা প্রবেশ চোখে পড়েনি।